আজ ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: পে-পার্কিং প্রসঙ্গে চসিকে মতবিনিময় সভা

চসিকের পে-পার্কিং প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ২৩ জানুয়ারি


অনলাইন ডেস্কঃ নগরীতে পার্কিং এর পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং অনেকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু পয়েন্টে প্রতিনিয়িত যানজট তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কতৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে প্রযুক্তিভিত্তিক পে-পার্কিং চালু করা গেলে নগরীর যানজট অনেকটা কমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছে চসিক। এজন্য ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা থেকে ওয়াসা মোড় হয়ে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত প্রস্তাবিত পে-পার্কিং প্রকল্পের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। চসিকের এই জরিপে সহায়তা করবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কতৃপক্ষ এবং বিট্র্যাক সলিউশন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে চসিক, সিএমপি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিট্র্যাক সলিউশন আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালুর বিষয়ে পাইলট প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরেছে।

এসময় যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের স্থান তৈরির পাশাপাশি পার্কিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বড় প্রকল্প গ্রহণ করায় চট্টগ্রামে গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতের চট্টগ্রামকে ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করতে হলে প্রযুক্তিভিক্তিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার আলোকে আমরা স্মার্ট পে-পার্কিং সিস্টেম চালু করব।’

আরও পড়ুন চসিকে জিপিএইচ ইস্পাতের সেমিনার

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পে-
পার্কিংকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করব আমরা। তিনি নগরীকে হকারমুক্ত করতে ‘নাইট মার্কেট’ চালুর প্রস্তাব দেন।’

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, ‘পে-পার্কিং চালুর পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বিকেন্দ্রীকরনে সিএমপি এবং বিআরটিএর সহযোগিতা কামনা করেন।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া চসিকের পে-পার্কিং চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পের ক্ষেত্রে পার্কিং করা গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্পের প্রয়োজেন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করতে হবে।’

বিআরটিএর পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা বলেন, ‘নগরীতে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট র‌্যাশনালাইজেশন করছে বিআরটিএ। একেক শ্রেণীর গাড়িকে একেকটি রুটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে নগরীতে জ্যাম হ্রাস পাবে।’

মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম বলেন, ‘পে-পার্কিং চালু হলে সেটি হবে
চট্টগ্রামের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যানজট নিরসণে বেদখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সভায় চসিক, সিএমপি, বিআরটিএ এবং বিট্র্যাক সলিউশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর